পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত আকাশে স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন মহান বিজয় দিবস। এটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের সংগ্রাম, ত্যাগ ও বীরত্বের চূড়ান্ত অর্জনের এক অবিস্মরণীয় গৌরবগাথা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়। চিরগৌরবের এই দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে বগুড়া ওয়াইএমসিএ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে সংস্থার শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সভাপতি মিস অর্পনা প্রামানিক। মুখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী। এছাড়া বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মি. দীলিপ মারান্ডী, সহ-সভাপতি মিস রুমা প্রামানিক, কার্যনির্বাহী সদস্য ম্যাগডোলিন ফ্রান্সিস্কা বেসরা, রেজিনা মারান্ডীসহ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হয়। বক্তারা বলেন, ’৭১ ও ’২৪-এর শহীদ ও বীর যোদ্ধাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের আদর্শ, দেশপ্রেম ও নৈতিক শক্তিকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, শারীরিক সুস্থতাই মানসিক বলিষ্ঠতার মূল ভিত্তি। সুস্থ জীবন গড়তে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। খেলাধুলা শরীর ও মন গঠনের পাশাপাশি শৃঙ্খলা, চরিত্র, নৈতিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে এবং জাতীয়তাবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মহান বিজয় দিবসে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা পরিচালনা করেন মাইকেল আশের বেসরা। আলোচনা শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।



