বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় খেঁজুরের কাঁচা রস পান করার পর অসুস্থ হয়ে মাহিন বাবু (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা নামাজ শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১০টার দিকে মাহিন বাবু মারা যায়। নিহত মাহিন বাবু শেরপুর উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের বাগড়া চকপোতা দুবলাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদ ফুয়াদ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় তালীমুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সোমবার দুপুরে মাহিন বাবুর পিতা মাহমুদ ফুয়াদ হোসেন জানান, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে খেঁজুরের কাঁচা রস পান করার কিছুক্ষণ পরই মাহিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে পরপর দুইবার বমি করে এবং দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
নিহতের দাদা এম রহমান মজনু জানান, অবস্থা খারাপ হলে প্রথমে তাকে দ্রুত শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বগুড়া মেডিকেলে নেওয়ার পরও শিশুটির অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে এনায়েতপুরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মাহিন বাবু মারা যায়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা নামাজ শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম চলছে। শিশু মাহিনের অকাল মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর বেদনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আলী বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। শীত মৌসুমে কাঁচা খেঁজুরের রস পান নিয়ে সবাইকে নতুন করে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, শীতকালে খোলা অবস্থায় সংগ্রহ করা খেঁজুরের কাঁচা রস বিভিন্নভাবে দূষিত হতে পারে, যা শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিশেষ করে শিশুদের কাঁচা খেঁজুরের রস পান করানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।



