বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এআই ব্যবহার করে ১০ হাজার কোটির বেশি স্বতন্ত্র নক্ষত্র শনাক্ত করতে সক্ষম মিল্কিওয়ে সিমুলেশন তৈরি করা হয়েছে। নতুন এই মডেল আগের অত্যাধুনিক সিমুলেশনের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি নক্ষত্র অন্তর্ভুক্ত করছে। শুধু তা–ই নয়, আগের মডেলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণের বেশি দ্রুত তৈরি করা হয়েছে সিমুলেশনটি। গবেষণার বিভিন্ন তথ্য আন্তর্জাতিক সুপার কম্পিউটিং সম্মেলন এসসি ২৫ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের মিল্কিওয়ে সিমুলেশন তৈরির জন্য কাজ করছেন। সিমুলেশনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্যালাকটিক বিবর্তন, কাঠামো ও নক্ষত্র গঠনের তত্ত্বকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা তথ্যের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। একটি গ্যালাক্সিকে নির্ভুলভাবে সিমুলেট করার জন্য মহাকর্ষ, পরিবেশ, রাসায়নিক উপাদানের গঠন ও সুপারনোভার কার্যক্রম গণনা করার প্রয়োজন হয়, যা অত্যন্ত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ। আর তাই বিজ্ঞানীরা এর আগে বিস্তারিত তথ্যনির্ভর মিল্কিওয়ের মতো বৃহৎ গ্যালাক্সির মডেল তৈরি করতে সক্ষম হননি।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একেকটি নক্ষত্র ধরে মিল্কিওয়ের সিমুলেট তৈরি করতে প্রতি ১০ লাখ বছরের জন্য প্রায় ৩১৫ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। এই হারে ১০০ কোটি বছরের সিমুলেশন তৈরি করতে ৩৬ বছরের বেশি সময় প্রয়োজন হবে। এ সমস্যা সমাধানে একটি ডিপ লার্নিং মডেলকে স্ট্যান্ডার্ড ভৌত সিমুলেশনের তথ্যের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।



